পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় নিজের অক্ষকে একবার ঘোরে, যার ফলে আমরা দিন ও রাত পাই। এখন ভাবো, হঠাৎ যদি এই ঘূর্ণন থেমে যায়?

প্রথমে, পৃথিবীর সবকিছু—মানুষ, গাছ, সমুদ্র—ঘূর্ণনের গতি (প্রায় ১৬৭০ কিমি/ঘণ্টা) ধরে সামনে ছিটকে পড়বে। বিশাল ধ্বংস শুরু হবে। ভবন, সেতু, যানবাহন—সব ছিন্নবিচ্ছিন্ন হবে।
এরপর আসবে বায়ুমণ্ডলের প্রতিক্রিয়া। বাতাসও ঘুরে চলেছে পৃথিবীর সঙ্গে। ঘূর্ণন বন্ধ হওয়ায় ভয়ংকর ঝড় সৃষ্টি হবে, যেগুলোর গতি হবে সুপারসনিক।
সমুদ্রের জল সরবে বিষুবরেখা থেকে দুই মেরুর দিকে, কারণ মাধ্যাকর্ষণ তখন সমানভাবে টানবে। মহাসাগরের স্তর উঁচু-নিচু হয়ে, উপকূল শহরগুলো ডুবে যাবে বা শুকিয়ে যাবে।
দিন ও রাত ২৪ ঘণ্টা নয়, একেকটি ৬ মাস দীর্ঘ হবে। একদিকে ৬ মাস ধোঁয়াটে দিন, আরেকদিকে ৬ মাস অন্ধকার রাত। এটি কৃষিকাজ, জনস্বাস্থ্য ও জীবজগতের ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলবে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক? পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাবে। এতে সৌর বিকিরণের বিরুদ্ধে পৃথিবী অরক্ষিত হয়ে পড়বে, যার ফলে ক্যান্সার ও প্রযুক্তিগত বিপর্যয় ঘটবে।
শেষ পর্যন্ত, মানব সভ্যতা হয়তো টিকবে না। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রকৃতিতে এমন হঠাৎ থেমে যাওয়া অসম্ভব, যদি না কোনো বিশাল বাহ্যিক শক্তি (যেমন গ্রহাণুর ধাক্কা) পৃথিবীর গতি বদলে দেয়।
তথ্যসূত্র:
NASA Earth Science Division
BBC Future (What if the Earth stopped spinning?)
Live Science
National Geographic